সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আবহাওয়া অফিস জানায়, পঞ্চগড়ের তেতুলিয়ায় আজ দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:পঞ্চগড়ে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস: বিএমডি
পঞ্চগড় জেলায় গত তিন দিন ধরেই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হচ্ছে যা মানুষের সাধারণ জীবনযাত্রা বিঘ্নিত করছে, বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলীয় জেলাগুলোতে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, মঙ্গলবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়।
এর আগে তেঁতুলিয়ায় সোম ও রবিবার যথাক্রমে সর্বনিম্ন ৭.৫ এবং ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
দেশের উত্তরের সর্বশেষ সীমান্তবর্তী শহর তেঁতুলিয়ায় প্রতি বছরই চরম শীত অনুভূত হয়।
আরও পড়ুন:করোনায় দেশে আরও ১৭ মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ১৩১৮
কোভিড-১৯ টিকা বিতরণে বাংলাদেশ কি প্রস্তুত
গত বছরের ৮ জানুয়ারি তেঁতুলিয়ায় ২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় যা বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বনিম্ন রেকর্ড করা তাপমাত্রা।
এদিকে, মঙ্গলবার ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে বলে সকালে এক বুলেটিনে জানায় আবহাওয়া অফিস।
কোভিড পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা
সরকার শীতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সবাইকে সতর্ক করে দিচ্ছে। এখন, করোনাভাইরাসের নতুন ধরন উদ্বেগকে আরও বাড়িয়েছে।
দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৭ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭ হাজার ৩২৯ জনে দাঁড়িয়েছে।
এছাড়া, নতুন করে ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৩১৮ জনের শরীরে। যার ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ৫ লাখ ৩ হাজার ৫০১ জনে।
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা সংক্রান্ত নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন:কুড়িগ্রাম ও পঞ্চগড়ে আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ ডিগ্রি
তাপমাত্রা বাংলাদেশে করোনার বিস্তারকে ধীর করে দিতে পারে: সিকৃবি
শীতের মাসগুলোতে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ক্রমবর্ধমান আশঙ্কার মধ্যে দেশের জনগণকে এ ভাইরাস থেকে নিরাপদ রাখতে সরকার বিশেষ মনোযোগ দিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গত মাসে এক অনুষ্ঠানে তিনি বিশ্বজুড়ে ক্রমবর্ধমান কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হওয়ার কথা তুলে ধরে বলেন, ‘আমি সবাইকে মাস্ক পরা এবং অন্যান্য সুরক্ষা বিধি অনুসরণ করার অনুরোধ জানাচ্ছি।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সোমবার বলেছেন, আগামী বছরের মে-জুনের মধ্যে বাংলাদেশ প্রায় ৪.৫ কোটি মানুষ কোভিড-১৯ টিকা পাবে।
তিনি বলেন, ‘দেড় কোটি মানুষের টিকার তিন কোটি ডোজ জানুয়ারির শেষে বা ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকে আসবে এবং মে-জুনের মধ্যে দেশে তিন কোটি মানুষের জন্য আরও ছয় কোটি ডোজ পাওয়া যাবে।’